আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ সহ এবং এর ফজিলত ও পড়ার নিয়ম জেনে নিন

আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ আমাদের সকলেই ভালোভাবে শিখা জরুরি। কারণ কোরআন এর অন্যতম একটি আয়াত হলো কোরআনের আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। এটি ফজিলত এবং উপকারিতা নিয়ে অনেক হাদিস বর্নীত হয়েছে। এটি খুবই গুরুত্তপূর্ন সূরা। এটি বেশি বেশি পাঠ আমাদের সবার জন্য মঙ্গলজনক। শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়া এবং দুস্ট জিনের উপদ্রব মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে সমাদৃত। আজকের কন্টেন্টে আমরা আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, এর ফজিলত, উপকারিতা এবং এটি কিভাবে পাঠ করবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করা যাক। 

আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

প্রথমেই আমরা জেনে নেই আয়াতুল কুরসির আরবি ও বাংলা উচ্চারণ। নিচে দেওয়া হলোঃ 

আরবি উচ্চারণঃ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আল-হাইয়্যু আল-কাইয়্যুম। লা তাখুয়ুহু সিনাতুন ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আর্দি। মান জালা যায়ারুহু ইল্লা বিইয়্যিহি। ইয়ালামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা খালফাহুম। ওয়ালা ইহীতুনা বিশাই মিন ইল্মিহি ইল্লা বিমা শায়া। ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহু সামাওয়াতি ওয়াল আর্দা। ওয়ালা ইয়াঊদুহু হিফযুহুমা। ওয়াহুয়া আলিয়্যুল আয়ীম।

আপনি আরবি পড়া না পারলে বাংলা উচ্চারণ মুখস্ত করতে পারেন। তবুও এটি মুখস্ত করার চেস্টা করবেন এটির ফজিলত এর জন্য। 

আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ কিভাবে চর্চা করবেন?

অনেকেই রয়েছেন এটি কিভাবে চর্চা করবেন তা জানেননা। নিচের পদক্ষেপগুলো মেনে চলতে পারেনঃ

  • প্রথমে এটি চর্চা করার জন্য একটি সঠিক সময় নির্বাচন করুন।
  • আরবি ভাষা শিখার জন্য কোনো গাইড অথবা কোনো আলেম সহায়তা নেন।
  • প্রতিদিন অন্তন ৫ বার এটি পড়ুন।
  • আরবি পড়তে না পারলে বাংলা উচ্চারণ দেখে শিখুন। 
  • এই নিয়মগুলো অন্তত ৫ দিন অনুসরণ করুন। ইনসাল্লাহ এটি আপনার মুখস্ত হয়ে যাবে।

আয়াতুল কুরসির ফজিলত 

আয়াতুল কুরসির ফজিলত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসিত মান্য হদিস ও সাহাবীর কথা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। আয়াতুল কুরসির ফলাফল ও ফজিলত নিম্নরূপ:

  1. আয়াতুল কুরসি মুক্তিবাদী হিসাবে পরিচিত। সহীহ হাদিসে শরীফে উল্লেখিত হয়েছে যে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে মুক্তি পাওয়া যায়।
  2.  এটি পড়ার মাধ্যমে মনোযোগ ও শান্তি অর্জন করা যায়। এটি মানসিক এবং শারীরিক তন্দ্রাপ্রশানের মাধ্যমে বিপদ, ভয়, ক্ষোভ, স্থানান্তর এবং জীনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
  3. এটি পড়ার মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বরকত এবং আশীর্বাদ প্রদান করা হয়।
  4. এটি পড়ার মাধ্যমে মৃত্যু পর্যন্ত রক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। এটি আপনাকে দুশ্চিন্তা, সঙ্কট এবং অপবিত্রতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
  5. এটি পড়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত করা যায় আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা। এটি আপনাকে আল্লাহর দরবারে সন্মান এবং বরকত অর্জন করতে সাহায্য করে।

আয়াতুল কুরসির ফজিলত বিষয়ে এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত মূল্যবান এবং বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত আপনি প্রতিদিন আয়াতুল কুরসি পড়ে নিজের ও পরিবারের জন্য বরকত এবং নিরাপত্তা প্রার্থনা করতে পারেন।

আরোও পড়ুনঃ সূরা ফাতিহা ব্যাখা এবং ফজিলত গুলো জেনে নিন

ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

ঘুমানোর আগে এটি পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। এটি নিয়ে একটি হাদিস ও রয়েছ। হাদিসটি এইরকমঃ

“কেও যদি ঘুমানোর আগে এই আয়াত পাঠ করে তাহলে তাকে সারারাত একটি ফেরেস্তা পাহারা দিয়ে রাখে এবং তার উপর কোনো শয়তান বা দুস্ট জিন ক্ষতি করতে পারেনা” ( সহিহ বুখারি)

আরো কয়েকটি ফজিলত নিচে দেওয়া হলোঃ 

  • এটি পড়ে ঘুমালে শয়তানের বিপদ এবং দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি মনের কলহ দূর করে এবং শয়তানের অনুপ্রেরণা থেকে রক্ষা করে।

ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়া মানসিক এবং শারীরিক তন্দ্রাপ্রশান কমিয়ে দেয়। মানসিক চিন্তা, ভয়, সঙ্কট এবং ঘটনাগুলি থেকে মুক্তি দেয়

ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

ফরজ নামাজের পর এটি পরলে অনেক ফজিলত পাও্যা জায়। আপনি যদি প্রতি নামাজ এর পর পাঠ করেন তাহলে জান্নাত এবং এবং আপনার মাঝে দুরুত্ত শুধু মৃত্যু। এছাড়াও এটি পাঠ করলে অনেক সাওয়াব অর্জন করতে পারবেন। ফরজ নামাজের পর আপনি এটি অন্তন একবার পড়ার চেস্টা করবেন। 

আয়াতুল কুরসি পড়ার নিয়ম

আয়াতুল কুরসি পড়ার নিয়ম

এটি পড়ার তেমন নির্দিস্ট কোনো নিয়ম নেই। তবে এটি সহিহ ভাবে পড়তে হবে। নিচে কিছু সাধারণ নিয়ম দেওয়া হলোঃ

  • প্রথমে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়বেন।
  • এর পরে আয়াতুল কুরসি পড়বেন এবং সহিহভাবে পড়ার চেস্টা করবেন।
  • এটি পড়া শেষ হওয়ার পর আপনি চাইলে দরুদ পড়তে পারেন। 

উপসংহার

আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ সহ আপনি উপরের নিয়ম অনুসরণ করলে শিখতে পারবেন। এটি অত্যন্ত  ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। আমরা উপরে এর বিভিন্ন ধরনের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করেছি। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় হওয়ার জন্য এটি বেশি বেশি পড়তে পারনে। ধন্যবাদ সবাইকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *