শবে মেরাজ আরবি মাসের কত তারিখ-এর ফজিলত এবং এর শিক্ষাগুলো জেনে নিন

শবে মেরাজ আরবি মাসের কত তারিখ

শবে মেরাজ আরবি মাসের কত তারিখ তা আমাদের সকলের জেনে রাখা ভালো। মহানবী (সঃ) এর এর মুজেজা এর মধ্যে সবথেকে আশ্চর্যমূলক ঘটনা হলো শবে মেরাজ। কারণ এই রাতে তিনি আকাশ ভ্রমন করেছিলেন এবং অনেক নবী রাসূল এবং ফেরেস্তাদের সাথে দেখা করেছিলেন আর মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। আজকের কন্টেন্টে আমরা শবে মেরাজ আরবি মাসের কত তারিখ হয়,শবে মেরাজের ইতিহাস, এর গুরুত্ত ও ফজিলত ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবো। তাই পূরো কন্টেন্টটি আপনাকে পড়ার অনুরোধ রইলো।

শবে মেরাজ আরবি মাসের কত তারিখ

শবে মেরাজ আরবি মাসের কত তারিখ

শবে মেরাজ আরবি মাসের 27শে রজব মাসে ঘটে। রজব মাস হলো হিজরি ক্যালেন্ডারের সপ্তম মাস। সাধারণত মুসলিম সমাজে এই তারিখটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের সঙ্গে পালন করা হয়.। যারা আরবি মাসের হিসাব জানেননা তারা এর বাংলা অথনা ইংরেজি মাসের কতো তারিখ হতে পারে তা স্থানীয় ইমাম বা আলেমদের কাছথেকে জেনে নিতে পারেন।  

শবে মেরাজ এর হাদিস

শবে মেরাজ নিয়ে অনেক হাদিস রয়েছে যেখানে রাসূল(সঃ) এর সাথে ঘটে যাওয়া অনেক বর্ণনা রয়েছে। এক্তি হাদিসে পাওয়া জায়, রাসুলুল্লাহ (সঃ) মেরাজ এর সাথে ঘটে যাওয়া সব কাহিনীগুলো তার প্রিয় সাহাবী হযরত আবু বক্কর (রাঃ) এর সাথে আলোচনা করেছিলেন এবং তিনি তা সাথে সাথে বিসসাস করেছিলেন।

শবে মেরাজের দিনে আমাদের কি করণীয়

এই রাতে মহানবী(সঃ) আকাশে ভ্রমন করেছিলেন বিধায় এই রাত অনেক গুরুত্তপূর্ণ। এই রাতের ফজিলত রয়েছে যেগুলো আমরা পালন করতে পারলে আমাদের জন্য মঙ্গলজনক। এই রাতে আমাদের করণীয়ঃ

  • রাতে নফল ইবাদত করা
  • নবিজী(সঃ) এর উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। 
  • কোরআন পাঠ করা। 
  • ইস্তিগফার করা।
  • বেশি বেশি তাসবিহ পাঠ করা ইত্যাদি। 

শবে মেরাজের দোয়া

শবে মেরাজের জন্য নির্দিস্ট কোনো দোয়া উল্লেখ নেই। আপনি চাইল এদোয়া পড়তে পারেন অথবা না পড়লে সমস্যা নেই। তবে এই রাতে দোয়া পড়লে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি চাইলে নিম্নলিখিত দোয়া পড়তে পারেনঃ 

“سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آَيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ”

এই দোয়ার অর্থ হলো:

“পবিত্র আল্লাহ, তিনি যিনি আমার বান্দাকে শবে মেরাজে নিয়ে চলেছেন, যিনি মসজিদুল হরাম থেকে মসজিদুল আকসা যাত্রা করেছেন, যার চারপাশে আমরা আমার আয়াতগুলি দেখাতে দিয়েছি। নিশ্চয় আপনি শুনতেন এবং দেখতেন।”

এটি একটি সুন্দর দোয়া যা শবে মেরাজের মুবারক দিনে পড়া হতে পারে। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

শবে মেরাজের গুরুত্ত ও ফজিলতগুলো বিশেষভাবে বর্ণ্না করা যায়। এই মেরাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার ক্ষমতা এবং দয়ার প্রকাশ পায়। এর রাতে রাসূল (সঃ) আমাদের জন্য অনেক নিয়মকানিন নিয়ে এসেছেন যা আমরা পালন করতে পারলে আআদের জন্য রহমত। নিছে কয়েকটি গুরুত্ত ও ফজিলত দেও্যা হলোঃ 

  • শবে মেরাজে রাসুল (সাঃ) আকাশে গিয়েছিলেন এবং সর্বশেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে পৌঁছেন। এটি আল্লাহর মহান ক্ষমতা ও প্রভুত্ব প্রমাণ করে তুলে। 
  • এই রাতে আমাদের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে এসেছিলেন।
  • বিভিন্ন ধরনের পাপীদের শাস্তি দেখেছিলেন।
  • দায়িত্তরত ফেরেস্তাদের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন।
  • কোরআনে বর্নীত নবী এবং রাসূলদের সাথে দেখা করেছিলেন ইত্যাদি। 

আরও পড়ুনঃ ৩টি সম্মান বৃদ্ধির দোয়া

শবে মেরাজ থেকে আমরা কি কি শিখতে পারি

শবে মেরাজের ঘটনা থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখতে পারি। আল্লাহ তায়ালার অনেক অপছন্দনীয় কাজ গুলো এর মেরাজে রাসুল (স;) জেনেছেন। মহানবী (সঃ) কে এই রাতে সিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন ধরনের পাপের শাস্তি দেখানো হয়েছিলো। 

যে সিদ্ধান্তগুলো দেওয়া হয়েছিলোঃ 

  1. মহান আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করা যাবেনা।
  2. মাথাপিতার সাথে খারাপ আচরণ করা যাবেনা।
  3. নিয়মিত সালাত আদায় করতে হবে।
  4. যিনা ও ব্যবিচার করা যাবেনা।
  5. সুদ খাওয়া যাবেনা ইত্যাদি

কোন পাপের কি শাস্তিঃ 

  • আমানতের খেয়ানত কারির শাস্তিঃ এদের কে অনেক বড় লাকরি বুঝাই করে তাদের পিঠে দেওয়া হয়েছে যা তারা বহন করতে পারছিলোনা।
  • যিনাকারির শাস্তিঃ এদের পায়ে লোহার গরম কাপড় পরিধান করে দেওয়া হয়েছে যা তারা সহ্য করতে পারতেছেনা।
  • চোগলখোরের শাস্তিঃ এদের কে কাচা এবং পচা মাংস কাওয়ানো হচ্ছে।
  • অশ্লিল বাক্য ব্যবহারকারীঃ এদের জিহবা বার বার কেঠে নেওয়া হচ্ছে। 

আরোও পড়ুনঃ রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

উপসংহার

শবে মেরাজ আরবি মাসের কত তারিখ এবং এর ফজিলত ও আরো অনেক কিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এই মেরাজ আমাদের সকলের জন্য অনেক উপকারী এবং কোন পাপে কি শাস্তি দেওয়া হয় তা মহানবী (সঃ) এই মেরাজের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি প্রথম এবং সপ্তম আসমান ভ্রমন করে মহান আল্লাহ এর দিদার লাভ করেছিলেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *