এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি রকম হতে পারে তা যদি আমরা জানতে পারি তাহলে আমরা কখোনই নামাজ ছাড়তে পারবোনা। মহান আল্লাহ আমাদের উপর নামাজ পড়া ফরজ করেছেন। কারণ তিনি কোরআন শরিফ এ বলেছেন তিনি আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন একমাত্ত্র তার ইবাদত করার জন্য। আজকে এই কন্টেন্ট এ আমরা এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি হতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই পূরো কন্টেন্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার শাস্তি
মহান আল্লাহ তায়ালা বেনামাজিদের জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করেন। কারণ নামাজ না পড়া বান্দা মহান আল্লাহ এর নাফরমান। এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার শাস্তি হলো ৮০ হোকমা। তবে এই সময় টা কোনো সহিহ হাদিস এ পাওয়া যায়নি। তবে আপনি যদি এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়েন তাহলে আপনাকে তার সমপরিমাণ শাস্তি পেতে হবে এবং এর শাস্তি কতোটুকু তা মহান আল্লাহ ভালো জানেন।
জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি
জামায়াতে নামাজ পড়া অনেক ফজিলতপূর্ন এবং ভালো। তবে অনেক ব্যাক্তি রয়েছেন যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে জামায়াতে নামাজ আদায় করেন না। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ পুরুষদের জামাআতে নামাজ আদায় করা ফরজ। তবে কেই যদি নামাজ আযান শুনতে না পায় বা তার বাসা থেকে মসজিদ অনেক দূর এবং যেতে অনেক সময় লেগে যায় তাহলে সেটি ভিন্নকথা। এই মর্মে একটি হাদিস বর্নীত আছে তা হলোঃ
হযরত আব্বাস ( রাযিঃ) হতে বর্নীত, “কেউ যদি আযান শুনে কোনো বিশেষ কারণ ছাড়া জামাআতে নামাজ আদায় না করে তাহলে তার নামাজ আদায় করা হবেনা।”
তাই আমরা সকলেই জামাআতে নামাজ আদায় করবো।
আরোও পড়ুনঃ ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম ও ফজিলত
ফজরের নামাজ না পড়ার শাস্তি
৫ ওয়াক্ত নামাজ এর মধ্যে ফজরের নামাজ হচ্ছে অনেক গুরুত্তপূর্ণ নামাজ। ফজরের নামাজ না পড়ার শাস্তি কি হবে তা মহান আল্লাহ তায়ালা ভালো করে জানেন। কারণ তিনি সব জান্তা। অনেক আলেম উলামা বলেন যারা ফজর এর নামাজ সব সময় বাদ দেয় তারা কখনোই প্রকৃত মুসলিম হতে পারেনা। কারণ আমাদের দিন শুরু হয় ফজর এর নামাজ এর মধ্য দিয়ে। কোরান শরিফের সূরা মাউন থেকে পাওয়া যায়, যারা ইচ্চাকৃত ভাবে নামাজ কাযা করে তারা কখনোই প্রকৃত মুসলিম নয়। যারা মুনাফিক তারা ফজর এর নামাজ আদায় করেনা। আর মুনাফিকদের স্থান হলো জাহান্নামের নিম্নস্থর। তাই আমাদের সকলের ফজরের নামাজ ঠিকমতো আদায় করা উচিত।
নামাজ না পড়ার শাস্তি কত বছর
নামাজ না পড়ার শাস্তি কত বছর তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। এই রকম কোনো সহিহ হাদিস কোনো যায়গায় পাওয়া যায়নি। তার মানে এটা নয় যে আপনি শাস্তি পাবেন না। জাহান্নামিদের মধ্যে সহথেকে বেশি মানুষ হলো যারা ঠিকমতো সালাত আদায় করতো না। আপনি যদি নিয়মিত নামাজ আদায় না করেন তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাকে শাস্তি দিবেন। সে শাস্তি কি হবে এটা তিনি ভালো জানেন।
আরোও পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত

দুনিয়াতে নামাজ না পড়ার ৫টি শাস্তি
আমাদের ইসলামের ৫টি বিধানের মধ্যে অন্যতম হলো ৫ ওয়াক্ত নামাজ। মূলতো কাফির এবং মুসলিমদের কে ভাগ করা হয় নামাজের মাধ্যমে। কারন যারা কাফির তারা নামাজ পড়েনা আবার যারা মুসলিম তারা নিয়মিত নামাজ আদায় করে। মহান আল্লাহ নামাজ না পড়া ব্যাক্তিদেরকে দুনিয়াতে অনেক শাস্তি দেন। তা নিম্নরুপঃ
- তার রিজিক থেকে বরকত উঠিয়ে নেন।
- তার দোয়া মহান আল্লাহ কবুল করেননা।
- সে নানা ধরনের দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে।
- শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে বিভিন্ন ধরনের পাপকাজ করে।
- হারাম কাজে জরিয়ে পড়ে।
আপনি যদি ১ ওয়াক্ত নামাজ না পড়েন তাহলে এই এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার শাস্তি আপনাকে পেতে হবে। তাই আপনাকে প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
উপসংহার
এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার শাস্তি নিয়ে আজকে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। উপরে আমরা যা বুঝতে পারলাম মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ করেছেন। আমরা যেই অবস্তাতেই থাকিনা কেন আমাদের এই নামাজ আদায় করতে হবে। তাই আমরা সকলেই প্রতিদিনের নামাজ প্রতিদিন আদায় করার চেস্টা করবো। ধন্যবাদ সবাইকে।