সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি তাসবিহ টি সারমর্মভাবে মহান আল্লাহ তায়ালার পবিএতা বর্ণনা করে এবং এটি একটি অনেক ফজিলতপূর্ণ তাসবিহ যা নিয়মিত পাঠ এর মাধ্যমে মনাহ আল্লাহ তায়ালার সান্ন্যিধ লাভ করা যায় এবং মনের আশা পূরন করা যায়। মহান আল্লাহ এর বিশেষ কিছু গুনবাচক তাসবিহ এর মধ্য এটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ । এই তাসবিহ এর ফজিলত সম্পর্কে সহীহ হাদিস এ প্রমান পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই এটির ফজিলত সম্পর্কেঃ

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি এর অর্থ কী এবং এর সম্পর্কে বর্ণিত হাদিস গুলো কি কি?
এটি একটি আরবি শব্দ যার অর্থ অনেক সুন্দর এবং প্রশংসনীয় । নিচে তার আরবি উচ্চারনটি হলোঃ
سبحان الله وبحمده ، سبحان الله عظيم
উচ্চারনঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম।
অর্থঃ মহান সেই আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তারই, যিনি সকল মর্যাদার অধিকারী।
এই তাসবিহ নিয়ে কয়েকটি হাদিস রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণীতঃ
এমন দুটি বাক্য সহজ বাক্য রয়েছে যা পাঠ করা অতি সহজ কিন্ত তা আমলের পাল্লায় অনে্ক ভারী। শব্দ দুটি হলোঃ “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম।”
(তিরমিযী শরীফ, হাদিস নাম্বারঃ ৩৪৬৪)
আরেক হাদিসে আসেছে যে,
হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্নীত ।
কেও যদি সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করে তাহলে তার জন্য জান্নাতে একটি গাছ রোপন করা হয়ায়।
(তিরমিযী শরীফ, হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৪)
আরো পড়ুনঃ হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল তাসবিহ এর পাচটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত
এই তাসবিহ নিয়ে আরো কিছু কথা
যদি আমরা এই তাসবিহ নিয়ে আলোচনা করি তাহলে আমরা দেখতে পাবো যে এটা এসেছে সুবহানাল্লাহ শব্দ থেকে। সুবহানাল্লাহ শব্দটি তাসবিহ বা সাবাহা শব্দ থেকে এসেছে যার মূল্ভাব কোনোকিছু কে তার সটিক অবস্থানে রাখা। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিএ যার মহিমা অতুলনীয়। মহান আল্লাহ তায়ালা দয়া নির্ভুল তার ভালোবাসা নির্ভুল তার সাহায্য নির্ভুল । সবার খারাপ সময় সবসময় থাকেনা আবার ভালো সময় ও সব সময় থাকেনা। তাই যেকোনো সময় হউক সেটা ভালো সময় বা খারাপ সব সময় আল্লাহ এর গুনগান এবং প্রশংসা করা উচিত। তাই আমরা সবাই এই তাসবিহ “ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি” পাঠ করা উচিত। এটি বোখারী শরীফ এর শেষ হাদিস। এটি মহানবী (সঃ) বেশি বেশি পাঠ করতেন এবং সাহাবীদের কে পাঠ করার জন্য উতসাহী করেছেন। আমরা নিজেদের জন্য হলেও এই তাসবিহ পাঠ করা উচিত। আমরা সকলেই মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ফিরে যেতে হবে, সবাইকে তার কৃতকর্মের ফল দেওয়া হবে এবং সবাইকেই বিচারের আওতায় আনা হবে। এটি বেশি বেশি পাঠ করলে মিযানের পাল্লা ভারী হবে যার ফলে হাশরের বিচার অনেক সহজ হবে। মহান আল্লাহ আমাদের কে বেশি বেশি এই তাসবিহ পাঠ করার জন্য কবুল করেন। আমিন।

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি এর ৪টি ফজিলত
এই তাসবিহটির ফজিলত অনেক রয়াছে। নিচে তার কয়েকটি ফজিলত বর্ণ্না করা হলোঃ
১ঃ কেই যদি দিনে ১০০ বার এটি পাঠ করে তাহলে তার যদি সমুদ্র এর ফেনা পরিমান গুনাহ ও যদি থাকে তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা তার ওই গুনাহ গুলো মাফ করে দিবেন।
২ঃ কেউ যদি হাশরের মাঠে তার মিযান এর পাল্লা ভারী করতে চায় তাহলে এই তাসবিহ বেশি বেশি যেনো পাঠ করে।
3: কেউ যদি এইটি সকাল এবং রাতে ১০০ বার করে পাঠ করে তাহলে তার এতো পরিমান নেকি হবে যে কিয়ামতের মাঠে তার সবথেকে বেশি নেকি থাকবে।
৪। এই তাসবিহ বেশি বেশি পাঠ করলে সচ্ছলতা ফিরে আসে।
সুবহানাল্লাহ! এর তাসবিহ টি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আমাদের সবার উচিত এই তাসবিহ বেশি বেশি পাঠ করা।
আরো পড়ুনঃ শুক্রবারের দোয়া কবুলের আমল এর মধ্যে ৫টি অন্যতম আমল
উপসংহার
সুতরাং, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি তাসবিহ টি পাঠ করা অনেক ভালো সবার জন্য। এই তাসবিহ বেশি বেশি পাঠ করলে মহান আল্লাহ তায়ালা বেশি খুশি হন। আর তিনি খুশি হলে আমাদের মনের আশা পূরণ হবে। আমরা সবাই তার হুকুম মেনে চলবো । কারণ তিনিই আমাদের একমাএ আপন এবং আমরা সবাই তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। আমাদের ব্লগটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
2 Comments on “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি এর ৪টি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত”