কবিরা গুনাহের তালিকা গুলো জানলে আমরা সবাই সতর্ক হতে পারব যে কোন কোন কাজ গুলা করলে কবিরা গুনাহ হয়। কারণ ইসলাম ধর্মের জগন্যতম কাজগুলার গুনাহ হচ্ছে এই গুনার এর অন্তর্ভুক্ত । যার শাস্তি অনেক কটিন এবং ভয়াবহ । মহান আল্লাহ এবং তার রাসূল (সঃ) এইগুলা গুনাহ এর কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। কারণ এই কবিরা গুনাহ গুলোর কারণে আমাদের উপর মহান আল্লাহ তায়ালার গজব নাযিল হয় এবং আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে আমরা দূরে সরে যাই। এই গুনাহ এর কাজ গুলা করলে আল্লাহ তায়ালা এবং মহানবী (সঃ) আমাদের উপর অসন্তোস্ট হন। তাই এই গুনাহ থেকে আমাদের দূরে থাকা জরুরী।

কবিরা গুনাহ করলে কি হয় এবং তার শাস্তি কি কি?
আমরা সবাই জানি গুনাহ হলো ২ প্রকার। যার নামগুলো হলো কবিরা গুনাহ এবং সগিরা গুনাহ। সগিরা গুনাহ মহান আল্লাহ তায়ালার নাম ধরে ডাকলে , তার নাম এর জিকির করলে ,সমাজে ভালো কাজ করলে মাফ হয়। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা কবিরা গুনাহ এতো সহজে মাফ করেননা যদি বান্দাহ তাওবা না করে। কবিরা গুনাহ এর কারনে আমাদের সামাজিক জীবনে বিভিন্ন ধরণের অশান্তি এবং বিপদ নেমে আসে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিপদ গুলো হলোঃ
- যে কবিরা গুনাহ করে তার রুজি থেকে বরকত উটে যায়।
- এর কারণে সমাজে বিভিন্ন ধরনের আসমানি গজব নাযিল হয়।
- সমাজের ন্যায়বিচার উটে যায়।
- সমাজে বখাটে এবং অন্যায় বেড়ে যায়।
- দুর্নীতি বেড়ে যায়।
- বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ চলে আসে।
- সমাজের মানুষ পাপাচারে লিপ্ত হয়ে যায়।
- যে এলাকায় সবথেকে বেশি কবিরা গুনাহ হয় সেখানে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ শুক্রবারের দোয়া কবুল এর ৫টি আমল
কবিরা গুনাহ এর জন্য পরকালে কটিন শাস্তির মুখোমূখি হতে হয়। যা কোরআন এবং হাদিসে পাওয়া যায়। একেকটি কবিরা গুনাহ এর জন্য একেকরকম শাস্তি। বান্দা যে ধরণের কবিরা গুনাহ করবে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে সেই ধরনের শাস্তি দিবেন। আমরা নিচে ১১০ টি কবিরা গুনাহের তালিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। দয়া করে পড়ার অনুরোধ রইলো।

১১০ টি কবিরা গুনাহের তালিকা
কবিরা গুনাহ এর শাস্তি অনেক ভয়ংকর যা আমাদের কল্পনার বাহিরে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে কোন কাজ গুলা করলে কবিরা গুনাহ হয়। তাই নিচে ১১০ টি কবিরা গুনাহের তালিকা করা হলো। একনজরে দেখে নিনঃ
- নামাজ ত্যাগ করা।
- মিথ্যা কথা বলা।
- মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া।
- সুদ খাওয়া এবং সুদের লেন্দেন করা।
- সুদের লেনদেন এর সাক্ষী হওয়া।
- ঘোষ দেওয়া এবং নেওয়া
- কাওকে গালমন্দ করা।
- কারো বিপক্ষে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।
- অন্যায়কারীর পক্ষপাতিত করা
- গীবত করা।
- আল্লাহ এর সাথে শিরক করা।
- আল্লাহ এর সমতুল্য কোনোকিছু কে মনে করা।
- আল্লাহ কে গালি দেওয়া
- বেগানা নারির দিকে কুদৃস্টিতে থাকানো।
- ধর্ষন করা
- ধর্ষনকারীকে সহায়তা করা।
- ধর্ষনকারীর পক্ষ নিয়ে আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া।
- অন্যায়ভাবে কাওকে মারধর করা।
- কাওকে মারধর করার জন্য যালিম এর পক্ষ নেওয়া
- পুরুষরা নারীদের মতো আচরন করা
- নারীরা পুরুষদের মতো আচরন করা
- কারো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়া
- আমানতের খিয়ানত করা।
- এতিন মিসকিনদের সম্পদ আত্তসাথ করা।
- গান শুনা
- গান বাজনা কে হালাল মনে করা।
- গান বাজনা কে হালাল রিজিক মনে করা।
- কারো উপর অন্যায়ভাবে মিথ্যা অপবাদ চাপিয়ে দেওয়া
- চুরা করা।
- খুন করা
- মদপান করা।
- মাদকদব্য সেবন করা।
- মাদক এর ব্যাবসা করা
- মাদকব্যাবসায়ী কে সহায়তা করা।
- চুরের পক্ষে সাক্ষী দেওয়া
- কালো যাদু করে মানুষের ক্ষতি করা
- কালো যাদু করা
- কালো যাদু করানো
- আল্লাহ এর কাছে সাহায্য না চেয়ে শয়তান এর কাছে সাহায্য চাওয়া।
- কোনো মানুষের ক্ষতি করানোর জন্য ফাদ পাতা।
- দেশের বিরোধিতা করা।
- দেশের ক্ষতি করানোর জন্য বিদেশীদের সাথে হাত মিলানো।
- দেশের মানুষের ক্ষতি করার চেস্টা করা।
- অবইদ ভাবে ক্ষমাতায় আসা।
- ভোট চুরি করা।
- ভোট চুরিতে সাহাযা করা।
- অবইদ ভাবে ক্ষমাতায় থাকার চেস্টা করা।
- দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা।
- রাস্ট্রীয় সম্পদ অন্যায় ভাবে ব্যায় করা।
- রাস্ট্রের ক্ষতি করা।
- অন্যায় ভাবে কাওকে খুন করার চেস্টা করা।
- খুন করার চেস্টায় কাওকে সাহায্য করা
- চুক্তিভিওিক বিবাহ করা।
- যুনা করা।
- পরকীয়া করা।
- পাপকাজ কে হালাল মনে করা।
- যিনাভিওিক কোনো কাজ এ সাহায্য করা।
- বেপর্দায় চলাচল করা।
- বেগানা পুরুষদের কে আকৃস্ট করার জন্য সাজগোজ করা।
- নারি পুরষ একওে চলাচল করা।
- চুক্তিভিওিক বিয়ে তে সাক্ষী হওয়া।
- নারীড়া ছোট ছোট পোষাক পড়া।
- প্রতারণা করা।
- লোক দেখানো নামাজ করা।
- লোক দেখানোর উদ্দ্যেশ্যে দান করা।
- অন্যের হক মেরে খাওয়া।
- অজনে কম দেওয়া।
- মা বাবা কে কস্ট দেওয়া
- মা বাবার সাথে দূরব্যবহার করা
- মা বাবার অবাধ্য হওয়া।
- প্রতিবেশীদের সাথে খারাপ আচরণ করা।
- প্রতিবেশিদের গাছের ফল চুরি করা
- ওজন এ কম দেওয়া।
- মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ অমান্য করা।
- তাকদির এ অবিসসাস করা
- পরকাল বিসসাস না করা।
- নবী রাসুল দের বিসসাস না করা
- জান্নাত এবং জাহান্নাম বিসসাস না করা।
- মহানবী (সঃ) কে শেষ নবী মনে না করা।
- কাদীয়ানী কে নবী মনে না করা।
- দাড়ি কাঠা
- চুল এর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের স্টাইল দেওয়া।
- হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে জাতীর পিতা মনে না করা।
- ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মকে শ্রেস্ট মনে করা।
- অন্য ধর্মতে স্থানান্তরিত হওয়া।
- আল্লাহর বিরোধিতা করা।
- নবী রাসূল দের গালি দেওয়া।
- গান বাজনায় অংশ নেওয়া এবং অর্থ দিয়ে সাহঅ্যা করা।
- গনকদের বিসসাস করা।
- আল্লাহ ছাড়া আর কেও গায়েবি জানে তা মনে করা।
- সামীর অবাধ্য হওয়া
- সামিকে কস্ট দেওয়া।
- স্ত্রী অন্যায় ভাবে মারধর করা।
- স্ত্রীর মা বাবা কে কস্ট দেওয়া
- অন্যায়ভাবে যউতুক চাওয়া।
- যউতুক না দিলে স্ত্রীকে মারধর করা।
- ঋন পরিশোধ না করা।
- নবী (সঃ) এবং তার সাহাবীদের কে গালি দেওয়া।
- আলেম উলামা দের অপমান করা।
- জোড় করে জমিন দখল করা।
- জমিন দখল করার কাজে সাহায্য করা।
- অহংকার করা
- হিংসা করা
- সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া।
- সমকামিতাকে প্রাডগান্য দেওয়া।
- সমকামিতাকে পাপ মনে না করা।
- সিয়াম পালন না করা।
- যাকাত আদায় না করা।
- সামর্থ থাকা সত্তেও হজ পালন না করা এবং
- ঝগ্রা লাগানোর উদ্দ্যেশ্যে একজন এর কথা আরেকজন কে বলা

কবিরা গুনাহ থেকে বাচার উপায়
আমরা কেউ ওয়ি গুনাহ থেকে বাচতে পারবোনা। কারন শয়তান আমাদের সাথে অনবরত প্রতারণা করতেছে। উপরে উল্লিখিত ১১০ টি কবিরা গুনাহের তালিকা গুলো ভালভাবে চিনে রাখুন এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোঙ্গুলো কবিরা গুনাহের তালিকায় পড়ে। নিচে কিছু উপায় বর্ণ্না করা হলঃ
১। নিয়মিত নামাজ আদায় করা।
২। মিথ্যা কথা না বলা।
৩। কোরান এবং হাদিস মোতাবেক জীবনযাপন করা।
৪। সব সময় যিকির করা এবং
৫। মহান আল্লাহর তায়ালার কাছে সব সময় প্রার্থনা করা।
আরো পড়ুনঃ হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল তাসবিহ এর পাচটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত
উপসংহারঃ
আমরা সকলেই জেনে বা না জেনে গুনাহ কাজ এ লিপ্ত হয়ে যাই। আমাদের সকলের জানা উচিত কবিরা গুনাহের তালিকা গুলো নিয়ে। যাতে করে আমরা এই ধরনের গুনাহ থেকে বেচে থাকতে পারি। আমাদের গুনাহ এর কারণে সমাজে বিভিন্ন ধরনের বিপদ আসে। তাই আমাদের সবাই উচিত গুনাহ থেক বেচে থাকা।
2 Comments on “১১০ টি কবিরা গুনাহের তালিকা কি কি এবং এর থেকে বাচার উপায় কি? ”